বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা সীমান্তের অপরপ্রান্ত থেকে আবার চটকরে ঢুকে পড়ার পায়তারা করছেন। আমি বলবো, যেখানে আছেন ভালো আছেন, ওখানেই থাকেন। আমরা সময়মতো ধরে আনবো। এর আগে ঢুকার চেষ্টা করবেন না। এ দেশের মানুষের কবলে পড়লে কতধানে কতচাল বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারীর কবল থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। আমাদের সংগ্রাম আরো বাকি রয়েছে। ফ্যাসিবাদের অবশিষ্ট শক্তিকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত না করা পর্যন্ত এদেশে আমাদের কেউ নিরাপদ নয়। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে বিএনপি-জামায়াত -হেফাজত ইসলাম আমরা কেউ এ দেশে নিরাপদে থাকতে পারবো না।
শনিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবা বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার সর্ম্পকে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিলো প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি।
তিনি আরও বলেন, গতকালও গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ভাইদের উপর হামলা করে তাদের হত্যা করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি গোপালগঞ্জের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পুনর্বাসন করার জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য মুফতি আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান প্রমুখ।
এসময় জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার ক্বওমী ওলামা পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ