সূর্যগ্রহণ হলো এমন একটি অবস্থা, যখন চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে। এ কারণে সূর্যের প্রতিচ্ছবি কিছুক্ষণের জন্য চাঁদের পেছনে আবৃত থাকে, একে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। সূর্যগ্রহণ তিন রকম হতে পারে। আংশিক বা খণ্ডগ্রাস, বলয়গ্রাস এবং পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে ৮ এপ্রিল। এটি মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা অতিক্রম করবে এটি। পরে উত্তর আমেরিকা ঘুরে যাবে এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে নানা কথা রটেছে। তবে এখনকার বিজ্ঞান অনেক কুসংস্কার ভেঙে দিয়েছে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৫০ বছরের মধ্যে এত দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ আর হয়নি। মনে করা হচ্ছে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ৭.৫ মিনিট স্থায়ী হবে। গ্রহণের সময় সূর্যকে চাঁদ ঢেকে ফেলবে। দিনের আলো খুব কম পৌঁছবে পৃথিবীতে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৪৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তেমনভাবে আর সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।
৮ এপ্রিল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ঘটবে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে শুরু হয়ে এটি একটি সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। এটি উত্তর আমেরিকা ও মেক্সিকো হয়ে কানাডায় পৌঁছাবে। এটি কোস্টারিকা, কিউবা, ডোমিনিকা, ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া এবং জ্যামাইকার মতো দেশেও আংশিকভাবে দেখা যাবে। এই সূর্যগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না, কারণ সেই সময় এদেশে রাত হবে।
তবে বাংলাদেশে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। চাইলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেখতেই পারেন। আপনি যদি সেইসব দেশে থাকেন, যেখানে সূর্যগ্রহণ সরাসরি দেখা যাচ্ছে, তাহলে এক্স-রে প্লেট, সানগ্লাস ব্যবহার করেই দেখবেন। নাহলে চোখের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। সূর্যগ্রহণ নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক কুসংস্কার আছে। তবে বিজ্ঞানে এর বেশিরভাগই ভিত্তিহীন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ