বাংলা৭১নিউজ,(বরিশাল)প্রতিনিধি: বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের এমপির সামনেইে উপজেলা খাদ্য গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আ. ছালামকে লাঞ্ছিত করেছেন উজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অসীম কুমার ঘরামী। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের সামনের সড়কে অবস্থান করছিলেন স্থানীয় এমপি মো. শাহে আলম। সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অসীম কুমার ঘরামী এবং ওসিএলএসডি আ. ছালামও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সরকারি ধান ক্রয়কে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয় ঘটে। এক পর্যায়ে অসীম আ. ছালামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ সময় অসীমের সহযোগীরা তার ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন। পরে এমপি মো. শাহে আলমের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ পাহারায় উপজেলা পরিষদ থেকে খাদ্য আ. ছালামকে তার কর্মস্থলে পৌঁছে দেয়া হয়।
ওসিএলএসডি আ. ছালাম জানান, সরকারি ধান ক্রয়ের দু’দফায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অসীম ঘরামীর সুপারিশে তার স্বজনরা ৪৬ টন ধান বিক্রি করেছেন। কিন্তু এমপি মহোদয়ের কাছে বিষয়টি গোপন করেন অসীম ঘরামী। বিষয়টি সত্য কি-না তা এমপি সাহেব আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাকে ধান ক্রয়ের বিবরণ দিচ্ছিলাম। এ সময় অসীম ঘরামী আমার ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ বিষয় আর কিছু বলতে পারব না।
অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অসীম কুমার ঘরামী জানান, সরকারিভাবে আমি কোনো ধান দেইনি। কিন্তু এমপির কাছে আমি ১০০ টন ধান দিয়েছি বলে মিথ্যা অভিযোগ করেন আ. ছালাম। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আ. মজিদ সিকদার বাচ্চু জানান, ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
এমপি মো. শাহে আলম জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস