চাঁদপুর সদরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান ওরফে ‘বালুখেকো’ সেলিমের ছেলে শান্ত খানের বালু উত্তোলন ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।
চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে শান্ত খানের বালু উত্তোলন ঠেকাতে রাষ্ট্রপক্ষ এ আবেদন করেছে বলে শনিবার (১৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
তিনি জানান, ২০২০ সালে শান্ত খানকে চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। ওই রায় স্থগিত চেয়ে আমরা আবেদন করেছি। আশা করছি এ মাসের মধ্যেই আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
মেঘনা নদী থেকে সেলিম খান বালু উত্তোলন করতে পারবেন না মর্মে গত ২৯ মে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। সেলিম খানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল চাঁদপুরে মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট আবেদন করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। রিট শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ