রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের যে বার্তা দিলেন রাষ্ট্রদূত ময়মনসিংহে ফের ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ ও কাউন্সিলর মানিক ৫ দিনের রিমান্ডে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ৩ জেলের মৃত্যু ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা ও গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হবে : হাসনাত তিস্তার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ৩ হাজার মানুষ ভয়াবহ বন্যায় নেপালে নিহত শতাধিক মিয়ানমারে যাচ্ছেন ১২৩ বিজিপি-সেনা, ফিরছেন ৮৫ বাংলাদেশি সালমান-আনিসুল-নুর আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কারাগারে মাহমুদুর রহমান শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পিচ্চি রাজা গ্রেপ্তার খোকসায় মাইক্রোবাস চাপায় ৪ শিশু নিহত হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইসলামী ব্যাংক ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য রাষ্ট্রকে অনন্য উচ্চতা দিয়েছে: আ স ম রব স্বৈরাচারের সহযোগী দলগুলোকে ১০ বছর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিৎ জনগণের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছি: ডিএমপি কমিশনার

এবার ইসির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি দেবেন ৪২ নাগরিক

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন অনুষ্ঠানে কারচুপি, জালিয়াতি, গুরুতর অসদচারণ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এ দাবিতে তারা এবার প্রধানমন্ত্রী বরাবরও চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন এই ৪২ নাগরিক। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। এ বিষয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় চেয়ে অনুরোধ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। একই ধরনের চিঠি তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও দেবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দিলীপ সরকার। এতে নির্বাচন কমিশনের ‘গুরুতর অসদাচরণ ও আর্থিক দুর্নীতির’ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- নির্বাচন কমিশনাদের বিশেষ বক্তা হিসেবে দুই কোটি টাকা গ্রহণ, নিয়োগের নামে চার কোটি আট লাখ টাকার দুর্নীতি, নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনটি করে গাড়ি ব্যবহার এবং ইভিএম কেনায় অনিয়ম। আর অসদাচারণের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদচারণ।

সংবাদ সম্মেলনে শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমরা সবাই মনে করেছি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নির্বাচন কমিশন যেসব কার্যকলাপ করেছে সেগুলো গুরুতর অসদাচরণ। সাংবিধানিক পদে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের।

তিনি বলেন, ‘দুদক বা পুলিশ এটা করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দিতে পারেন। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে অভিযোগ জানিয়েছি। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা আশা করছি, গুরুতর অসদাচরণের দায়ে তারা দোষী হবেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাদের পদ থেকে অপসারণ করবেন।

দেশে নির্বাচন খেলা হয় অভিযোগ করে এক প্রশ্নের জবাবে শাহদীন মালিক বলেন, এখন কোথাও কোনো নির্বাচন হয় না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে আমরা খারাপ নির্বাচন বলি। এখন নির্বাচনগুলো সে রকমই হচ্ছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে আমরা গভীর সংকটে আছি। আশা করি মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির স্বার্থে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন যেভাবে আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে, আগে কখনও দেখা য়ায়নি। তারা আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নির্বাচন কমিশনের নাম অবমাননা ও কলঙ্কিত করেছে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছি। একইসঙ্গে সরকার প্রধানের কাছে যাবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করবো। যতদিন সিদ্ধান্ত না হয় ততদিন সিইসি ও কমিশনারা স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন, কেউ কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন আমরা আশা করবো।

সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মন্ডলও একই চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার কথা জানান।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী নাগরিক ব্যক্তিত্বরা হলেন এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলী খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পারভীন হাসান, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আহমেদ কামাল, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড. আই খান পান্না, শাহদীন মালিক, আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ আহসান মনসুর, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মন্ডল, স্থপতি মোবাশ্বের হাসান, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সি. আর আবরার, আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, লুবনা মরিয়ম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আকমল হোসেন, সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এর অধ্যাপক স্বপন আদনান,  ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, গোলাম মোর্তুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ক্লিনিকাল নিউরোসায়েন্স সেন্টার ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক নায়লা জামান খান, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন।

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ: 

‘বিশেষ বক্তা’ হিসেবে বক্তৃতা দেওয়ার নামে দুই কোটি টাকার মতো আর্থিক অসদাচরণ ও অনিয়ম।

নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চার কোটি আট লাখ টাকার অসদাচরণ ও অনিয়ম।

নিয়মবহির্ভূতভাবে তিনজন কমিশনারের তিনটি গাড়ি ব্যবহারজনিত আর্থিক অসদাচরণ ও অনিয়ম।

ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম।

ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম।

সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম।

বাংলা৭১নিউজ/এমএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com