বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে মোট ডিজেলের মাত্র ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। বাকি ৯০ শতাংশ সেচ ও পরিবহনখাতে ব্যবহার হয়ে থাকে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দিনে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং চলছে। এ পরিস্থিতি সাময়িক। গ্রাহকরাও এটাকে বিশেষ পরিস্থিতি মেনে নিচ্ছেন। এক সপ্তাহ, ১০ দিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব। আগামী সপ্তাহে নতুন পরিকল্পনা করা হবে। কম দামে জ্বালানির বাজার খোঁজা হচ্ছে। এখনো কোনো অফার পাওয়া যায়নি।
এদিকে জ্বালানি সাশ্রয়ে উচ্চ ব্যয়ের ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের পর সরবরাহ সংকটে দেশজুড়ে প্রতিদিন সূচি ধরে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে।
এর আগে ১৮ জুলাই লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ওই সভা শেষে জানান, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্ব পরিস্থিতির উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি