জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে না দিলে সরকার পালানোর পথ পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, অন্যথায় টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আর এই আদালতেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল হবে।’
নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর টেকনিক্যালে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন রেজাউল করিম।
তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘সরকার ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে।’ সমাবেশ শেষে গণমাধ্যমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার। এতে রেজাউল করিমের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমাবেশে রেজাউল করিম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর সকল জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এমন অন্যায্য রায় জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে টানা-হেচরা শুরু করেছে সরকার। অবিলম্বে নিবন্ধন ফিরিয়ে না দিলে জনতার রুদ্ররোষে পালানোর পথ পাবে না।’এর আগে মিরপুর-১ এর গোল চত্বর থেকে নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যাল গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
রেজাউল করিম বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি আদায়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে এসেছে। সরকার জনতার আন্দোলন দমনের জন্য রাষ্ট্রশক্তি ও দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু জনতার বুকে পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। বরং গণবিরোধী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনতার আন্দোলন চলবে।’
জামায়াতে এই নেতা বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই দলের আমির শফিকুর রহমান ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ দলের শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে।
এ সময় তিনি জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে অবিলম্বে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। সমাবেশে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দিন, ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান, আব্দুর রহিম, সালাহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে