বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ ভারতে পদদলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৭ লিবিয়ায় ২ ভাইকে জি‌ম্মি, মুক্তিপণ নিতে এসে গ্রেপ্তার ২ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে ব্যারিস্টার সুমন দুর্নীতিবাজের রোষানলে পাঁচমাসে ৬১১ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান: সংসদে পরিবেশমন্ত্রী মেয়ের পরকীয়ার জেরে খুন হন সাবেক এমপির স্ত্রী, ১৩ বছর পর রহস্য ভেদ চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা উন্নয়ন প্রকল্পে এডিবির বিনিয়োগ ২২ হাজার কোটি টাকা নেত্রকোনায় সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে গাজীপুরে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ কুয়েতে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৭৫০ প্রবাসী গ্রেপ্তার মতিউর ও স্ত্রী-সন্তান‌দের সম্প‌দের হিসাব চেয়ে নো‌টিস শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে বহু গ্রাম প্লাবিত আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক রোহিঙ্গাদের জন্য ১.৫ মিলিয়ন ইউরো দিচ্ছে ফ্রান্স অবশেষে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের তথ্য জানালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় কাজ করবে যৌথ টাস্কফোর্স কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

উচ্চ আদালতে দণ্ড চূড়ান্ত না হলে নির্বাচনে বাধা নেই খালেদার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নিম্ন আদালতের দণ্ড যদি বহাল থাকে তবেই কেবল কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান রয়েছে। তাও দুই বছর পর্যন্ত দণ্ড থাকলে। এ রকম দণ্ড উচ্চ আদালতে বহাল রাখা হলে সাজা ভোগের পর ৫ বছরকাল কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়।
অবশ্য দেশে এখন পর্যন্ত এমন নজির প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অর্থাৎ বিচারিক আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডিত হলেও তিনি যদি আপিল করেন তবে ওই আপিল সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিমকোর্টে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেগম জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য হবেন না।
স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত বিচারাধীন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোন অযোগ্যতার বা পদে বহাল না থাকার নজির শুধু সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ক্ষেত্রে রয়েছে। তবে অসংখ্য দণ্ডপ্রাপ্ত বিচারাধীন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং সংসদ সদস্য পদেও বহাল ছিলেন বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে বিচারিক আদালত ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন তারা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আপিল করা এবং তা গৃহীত হলে কাউকে দণ্ডিত বলা যাবে না। যতক্ষণ না উচ্চ আদালত কর্তৃক তা স্বীকৃত হয়। সে কারণে আপিল দায়ের করেও নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার কোন বাধা নেই।’ তিনি বলেন, ‘রায়ের সত্যায়িত কপি পাওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করার বিধান রয়েছে।’
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফৌজদারি অপরাধের দণ্ড চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আইনের দৃষ্টিতে কাউকে দোষী বলে গণ্য করা যায় না। আমাদের দেশে সাজা চূড়ান্তের একমাত্র মালিক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। নিম্ন আদালত বা হাইকোর্টের সাজার উপর নির্ভর করে অতীতে কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার নজির নেই।  নিম্ন আদালত বা হাইকোর্টের দণ্ডের বিরুদ্ধে কারো আপিল গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যক্তির দণ্ডাদেশ বহাল থেকে যায়। কিন্তু আপিল গৃহীত হলে তাকে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলা হয় না। তিনি গণ্য হন বিচারাধীন ব্যক্তি হিসেবে।
সংবিধানের ৬৬ (২) ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হবার এবং সংসদ সদস্য থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলন জনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।
১৯৯০ সালে কারাগারে যাওয়ার পর এরশাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার মধ্যে ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত জনতা টাওয়ার দুর্নীতি মামলা, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পাওয়া উপহার সামগ্রী আত্মসাৎ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলাসহ তিনটি মামলায় নিম্ন আদালতে এরশাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। এই সব মামলায় এরশাদের তিন থেকে ১৩ বছরের দণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। এর বিরুদ্ধে এরশাদ হাইকোর্টে আপিল করেন।
নিম্ন আদালতের সাজার সময় এরশাদ সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু তার আপিল বিচারাধীন থাকার কারণে সংসদ সদস্যপদ বাতিলের প্রশ্ন সেসময় উত্থাপিত হয়নি। কিন্তু জনতা টাওয়ার মামলায় ২০০০ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এরশাদের সাজা চূড়ান্ত করে। যে কারণে এরশাদ ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এমনকি তার সংসদ সদস্য পদও খারিজ হয়ে গিয়েছিলো।
কিন্তু নিম্ন আদালতের সাজার পর হাইকোর্টে আপিল করে এরশাদ ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পেরেছিলেন। এই ইস্যুটি ১৯৯৬ সালেই উচ্চ আদালত নিষ্পত্তি করে। সে সময় এরশাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কুড়িগ্রাম আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট এরশাদকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার প্রশ্নে কোন আদেশ প্রদান করেনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com