বাংলা৭১নিউজ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি : সরকার সারা দেশে সকল প্রকার কোচিং বানিজ্য বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নিলেও কৃষি ডিপ্লোমা পাশকারীদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে তিন মাসের গ্যারেন্টি প্যাকেজের প্রলোভন দেখিয়ে নেত্রকোনায় চলছে ‘উন্মীলন’ নামে কোচিং সেন্টারের রমরমা কেচিং বানিজ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই নেত্রকোনার মোক্তারপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে এই কোচিং বানিজ্য শুরু হয়।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিদ্যুৎ মজুমদার ও সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বর্ণী ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু রাসেল খান সরকারী চাকুরী করেও এই কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তারা ব্যানার ফেস্টুন লিপলেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে আসছে।
বর্তমানে এটি জয়নগর সিভিল সার্জন অফিস সংলগ্ন আনন্দ নিকেতন কিন্ডার গার্টেনে কার্যক্রম চলছে। কোচিংয়ে বাংলা, ইংরেজী, গনিত ক্লাস পরিচালনার জন্য বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকদের জড়িত করা হচ্ছে। বর্তমানে এই কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৪ শত জন।
তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে কোচিং ফি বাবদ ১২ হাজার ৮ শত টাকা করে নেয়া হয়েছে। এস এস সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে সকল কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম চালানোর দায়ে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ ভূইয়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারী উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিদ্যুৎ মজুমদার ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু রাসেল খানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিলাস চন্দ্র পাল খামার বাড়ীর জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা মোঃ মতিউজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিলাস চন্দ্র পালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত দুই উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে তাৎক্ষনিক অন্যত্র বদলী করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঢাকা খামারবাড়ীর কর্মকর্তাদের দিয়ে আরেকটি তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণীত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস