রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া চার ব্যক্তির প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এ ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও আইনজীবী নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব। ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
আইনজীবী নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে গত বছরের ১৪ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক বেঞ্চ ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চার ব্যক্তির প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখতিয়ার না থাকায় ওই বেঞ্চ তখন রুল জারি করেননি। তাই আদালতের ওই আপিল বিভাগ স্থগিত করে পুনরায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন।
আজ হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চার ব্যক্তির প্রত্যেক পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
অন্যদিকে নিহত পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তি মনিরুজ্জামানের পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করায় আদালত তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।
গত বছরের পহেলা জুন রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আগুনে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব, ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ ও নিয়াজ মাহমুদ জনস্বার্থে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন।
গত বছরের ২৭ মে রাতে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এসি বিস্ফোরণের আগুনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া রোগীরা হলেন, রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরুন এন্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫), মো. মাহাবুব (৫০)।
বাংলা৭১নিউজ/এমএন