দরজায় কড়া নাড়ছে ইংল্যান্ড সিরিজ, প্রায় সাত বছর পর বাংলাদেশে আসছে থ্রি লায়ন্সরা। সিরিজকে কেন্দ্র করে নতুন রূপে সাজছে বাংলাদেশও, নতুন কোচের সাথে নতুন পরিকল্পনা আঁটবে টিম টাইগার। তবে ইংল্যান্ড বধের এই পরিকল্পনায় এবার দেখা যাবে না টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফের শুরু হতে যাচ্ছে হাথুরাসিংহে অধ্যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিতে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে আসছেন এই লঙ্কান কোচ। এর আগে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই মেয়াদে হাথুরুর সঙ্গী হিসেবে টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
এবারো হাথুরাসিংহে ফেরার সময়জুড়ে তাই আলোচনায় ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজনও। মাঝে বিসিবি থেকেও এক পরিচালক জানিয়েছিলেন, সুজনকে রেখে দেয়ার পরিকল্পনা আছে ক্রিকেট বোর্ডের। তবে আজ গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুজন জানালেন, ইংল্যান্ড সিরিজে নিজের প্রয়োজন অনুভব করছেন না তিনি।
এই সিরিজে না থাকলেও আগামীতে দলের সাথে থাকার প্রত্যয় আছে সুজনের। তিনি জানান, ‘এটা হোম সিরিজ। মনে হয় না থাকব। এখানে বোর্ডের সবাই থাকবে। তাই আমার মনে হয় না আপাতত থাকার প্রয়োজন আছে। এই সিরিজটা যাক, তারপর দেখা যাবে৷’
তবে দলের সাথে না থাকলেও দলকে নিয়ে বেশ আশাবাদী খালেদ মাহমুদ সুজন। হাথুরুসিংহের সাথে জুটি গড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরো এগিয়ে যাবে বলে সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, তিনি আসার পর যেখানে আমরা আছি সেখান থেকে সামনের দিকে আরো আগাতে পারব। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে উন্নতিটা তার হাত ধরেই আসুক।’
কেন তিনি এত বড় স্বপ্ন দেখছেন, তাও খোলাসা করেছেন সুজন। তার মতে হাথুরু ও দলের ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাই এগিয়ে দেবে দলকে। তার মতে, ‘আমাদের দেশের ক্রিকেটার, ক্রিকেট সংস্কৃতি সবকিছু সম্পর্কে হাথুরুর অনেক ভালো ধারণা আছে। তাছাড়া আগেরবার তো হাথুর কাছে খুব অভিজ্ঞ কোনো দল ছিল না।
তবুও সেই দলটাকেই সে শক্তপোক্ত বানিয়েছিল। আমরা ম্যাচ জেতা শুরু করেছিলাম, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছিল। এখন তিনি অনেক অভিজ্ঞ একটা দল পাবে, এছাড়া নিজেও এখন অনেক অভিজ্ঞ। ফলে আমরা তো আশা করতেই পারি যে, ওর অধীনে আমরা আরো ভালো করব, আরো সাফল্য আসবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএম