গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে গেছেন।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর একটি গাড়িবহর সঙ্গে ছিল। বৃহস্পতিবারের তার এ সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আমি রাজনীতি করতে যাইনি। বঙ্গবন্ধু আমার কাছে রাজনীতির ঊর্ধ্বের মানুষ।
সব সময় আমি যে কারণে যাই, এবারও সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমার প্রাণ, আমার অস্তিত্ব। তাকে হারিয়ে আমি সব হারিয়েছি; আমি এবং আমার পরিবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
সে ক্ষেত্রে সফরটি অরাজনৈতিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক সফর। তবে আমি রাজনীতি করতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যাইনি। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটে যাচ্ছেন, সফরটি তেমন ইঙ্গিত দেয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটি পরে বলব, আজ এ পর্যন্তই।
কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কাদের সিদ্দিকী। এরপর থেকেই গুঞ্জন ওঠে কাদের সিদ্দিকী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বাঁধছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও এনিয়ে অনেক ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ২৫-৩০টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের বহর নিয়ে ঢাকা থেকে কাদের সিদ্দিকী ও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী এই সফরে অংশ নেন।
এসময় কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন সিদ্দিকী, ছোট ভাই মুনসুর আল মামুন আজাদ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ