সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আমি কোনো দুর্নীতি করিনি : মাদকের ডিজি শুধু মেগা প্রজেক্ট নয়, সবুজায়ন বাড়াতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেরপুরে কমছে নদ-নদীর পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি কর্মচারী হত্যায় হাজী সেলিমসহ ৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো করাচি বিমানবন্দরের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ২ চীনা নাগরিক পূজায় জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই: আইজিপি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, পিটিআইয়ের নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা এস আলম পরিবারের ১৩ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে হত্যা মামলায় ওসি গ্রেপ্তার সিন্দুকের ভেতর শাশুড়ির মরদেহ, পুত্রবধূ আটক বাংলাদেশ রিটেইল অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ ২০ বছরের ছোট সারার সঙ্গে রণবীরের রোমান্স, হতাশ নেটিজেনরা রনি হত্যা : ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি নুর ইসলাম গ্রেপ্তার রূপালী সঞ্চয়-ঋণদান সমবায় সমিতির এমডি-ম্যানেজার গ্রেপ্তার মুক্তাকিম বিল্লাহ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন সেতু বিভাগের সচিব হলেন ফাহিমুল ইসলাম ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ

আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, অফিস সহকারীর আলমারিতে ২২ লাখ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(নওগাঁ)প্রতিনিধি: নওগাঁয় সঞ্চয় অফিসে গ্রাহকের প্রায় দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অফিসের উচ্চমান সহকারী হাসান আলীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ সময় তার অফিস কক্ষের আলমারি থেকে ২২ লাখ ৮৭ হাজার উদ্ধার করা হয়। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা সঞ্চয় অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর হাসান আলীকে পুলিশে সোপর্দ করে দুদক। এরপর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুদকের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে সঞ্চয় অফিসে অভিযান চালানো হয়। উচ্চমান সহকারী হাসান আলী নওগাঁ শহরের চকদেব সরিষাহাটির মোড়ের বাসিন্দা।

গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় গত ২৫ জুন জেলা সঞ্চয় অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেনকে (২৯) রাজশাহী মহানগর জিরো পয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করে দুদক। গ্রেফতারের পর তাকেও নওগাঁ সদর থানায় সোপর্দ করা হলে পুলিশ জেলহাজতে পাঠায়। সাদ্দাম হোসেন গাইবান্ধা সদরের বক্তার আলীর ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওগাঁ সঞ্চয় অফিসে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী। এ প্রতিষ্ঠানে যারা বিনিয়োগকারী তাদের অধিকাংশই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। মাসিক ও ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সেখান থেকে মুনাফা উত্তোলন করা হয়। জেলার ১১টি উপজেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলার বিনিয়োগকারীরা এখানে সঞ্চয় করেছেন।

চলতি বছরের শুরু থেকে সঞ্চয় অফিসে বিনিয়োগকারীরা হয়রানির মধ্যে পড়েন। এতে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা পরিশোধ করতে কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়ম আর অবহেলার অভিযোগ ওঠে। বিনিয়োগকারীরা মুনাফা না পেয়ে চরম হয়রানির শিকার হন। অফিসে পাঁচজন কর্মকর্তার পদ থাকলেও কাজ করছেন মাত্র দুজন। অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেন গত বছরের ডিসেম্বর থেকে অফিসে না জানিয়ে লাপাত্তা। এজন্য অফিসে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব।

২০১৪ সালে নওগাঁ সঞ্চয় অফিসে সাদ্দাম হোসেন অফিস সহায়ক পদে যোগ দেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে হঠাৎ করে অফিসে আসা বন্ধ করে দেন তিনি। দায়িত্ব পালনকালে সাদ্দাম হোসেন বেশকিছু আমানতের রেকর্ড না রেখে গ্রাহককে ভুয়া সিল-স্বাক্ষরে রসিদ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে হাসান আলীর সহযোগিতায় ভাউচার জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রায় দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

Naogaon-Dudok--(1)

গত জুন মাসে সঞ্চয় অফিসে বিভাগীয় অফিস থেকে অডিট করা হয়। অডিটে বেশকিছু গ্রাহকের জমাকৃত টাকার গরমিল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ৫০-৬০ জন গ্রাহকের জমাকৃত টাকার হদিস পাওয়া যায়নি। এরপরই আমানত আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে।

ঘটনা জানাজানির পর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। নওগাঁ সদর থানায় ১৫ জুন অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে সঞ্চয় অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত সঞ্চয় কর্মকর্তা নাসির হোসেন একটি মামলা করেন। এরপর ঘটনা অনুসন্ধানে নামে দুদক। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে দুদক।

বিনিয়োগকারীরা জানান, নিয়ম অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সঞ্চয় অধিদফতর থেকে প্রমাণ হিসেবে কুপন সংগ্রহ করতেন তারা। এরপর থেকে সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে মুনাফা পেতেন তারা। গত মার্চ মাস থেকে মুনাফা উত্তোলনের কুপন ইস্যু দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন কর্মকর্তারা। মুনাফা না পেয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়েছে তাদের।

শহরের উকিল পাড়ার বাসিন্দা মুনিরা জান্নাত বলেন, ২০১৮ সালে ১০ লাখ টাকা সঞ্চয় অফিসে বিনিয়োগ করে প্রমাণ হিসেবে কুপন সংগ্রহ করি। সেখান থেকে তিনবার লভ্যাংশ উত্তোলন করা হয়। কিন্তু চতুর্থবারের মাথায় যখন লভ্যাংশ উত্তোলনের জন্য যাই তখন অফিস থেকে জানানো হয় আমার নামে মূল নথিতে নাম নেই। অফিসের কাগজপত্রের কিছু সমস্যা হয়েছে। যদি অফিসে মূল নথিতে নাম না থাকে তাহলে তিনবার কীভাবে লভ্যাংশ উত্তোলন করলাম?

নওগাঁ সঞ্চয় অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত সঞ্চয় কর্মকর্তা নাসির হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সঞ্চয় অফিসে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের অফিসে ডাকা হয়েছিল। অফিসের উচ্চমান সহকারী হাসান আলীর অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণ হয়নি। তবে হাসান আলীর অনেক আগের কিছু সঞ্চয়পত্র ছিল। তিনি পারিবারিক প্রয়োজনে সঞ্চয়পত্রগুলো ভেঙে টাকা আলমারিতে রেখেছিলেন। সেই টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করেছে দুদক।

তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, সাদ্দাম হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকারোক্তিতে হাসান আলী টাকা আত্মসাতে জড়িত বলে দুদককে জানায়। এরপরই অভিযান চালিয়ে টাকাসহ হাসান আলীকে গ্রেফতার করে দুদক।

বাংলা৭১নিউজ/পিআর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com