ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে অন্তত ৯৩টি আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ‘বি’ ইউনিটভূক্ত ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৭টি আসন ফাঁকা রয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, ‘ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ইউজিসি থেকেও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখনো অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো তথ্য হালনাগাত করার পরে ফাঁকা আসনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
জানা যায়, গত বছর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তিনটি ইউনিটে সর্বমোট ২ হাজার ৯৫টি আসনে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে তিনবার মেধা তালিকা প্রকাশের পরও ১ হাজার ২৭০টি আসন ফাঁকা থাকে। পরে এসকল আসন পূরণ করতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ সপ্তম মেধা তালিকার ভর্তি কার্যক্রম শেষেও অন্তত ৯৩টি আসন খালি রয়েছে।
এদিকে আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সপ্তম মেধা তালিকার ভর্তি কার্যক্রম শেষেও আসন খালি থাকার কারণ হিসেবে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়াকে দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসে বলেন, ‘এতগুলো আসন শূন্য থাকা কোনভাবেই কাম্য নয়। গুচ্ছে না যাওয়ার বিষয়ে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনড়। আমরা ইতিমধ্যে ভিসি স্যারকে আমাদের অবস্থান লিখিতভাবে জানিয়েছি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে গেলে শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে তো আমাদের করার কিছু নেই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আসন ফাঁকা রয়েছে। ইউজিসি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ক্লাস শুরু করতে বলা হয়েছে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ