বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেফতার এক ব্যক্তি টাঙ্গাইলে সড়কের পাশে পড়ে ছিল মাংস ব্যবসায়ীর মরদেহ খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির নীতিমালা জারি রতন টাটা মারা গেছেন নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট ড. ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’, ব্যাখ্যা দিলো প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর টানা চারদিনের ছুটি শুরু দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময় রোববার ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন, ২০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎহীন ব্যাংক বন্ধ আজ একদিনে আরও ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খালে পড়ে দুই পরিবারের ৮ জন নিহত বিএনপির ত্রাণ তহবিলে ২ লাখ টাকা দিলেন খালেদা জিয়া নিবন্ধন প্রথা বাতিল, সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চায় জামায়াত তরুণদের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের আহ্বান আসিফ মাহমুদের রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান ড. মোবাশ্বের মোনেম সা‌বেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদ‌কের ৫ মামলা শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে যা বললো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

আরকাইভ ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আরকাইভ সামাজিক দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

তিনি বলেন, আজকের সৃষ্ট নথিপত্রই আগামী দিনের ঐতিহাসিক দলিল, তথা মূল্যবান আরকাইভ উপকরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। আরকাইভস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করাই ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ উদ্যাপনের মূল উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আমি আশা করি, আমাদের আরকাইভিস্টরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভসকে আরো সমৃদ্ধশালী আরকাইভস হিসেবে আত্মপ্রকাশে নিজেদের নিয়োজিত করবেন।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ জুন ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আন্তর্জাতিক আরকাইভস সংস্থা ২০০৭ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দিন ১৯৪৮ সালের ৯ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আন্তর্জাতিক আরকাইভস সংস্থার সদস্য হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ পালন করছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন জ্ঞান পিপাসু, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সচেতন মানুষ ছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৩০ লাখ বীর শহীদের রক্ত ও ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগ এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান-আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহসিকতার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলাদেশ’ এ রূপান্তরিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস, গর্বিত ঐতিহ্য ও আবহমান সংস্কৃতির তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণের বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই প্রেক্ষাপটে তিনি রাষ্ট্র কাঠামো পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ১৯৭২ সালে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগার ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস’ প্রতিষ্ঠা করেন। 

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় আরকাইভসের জন্য ২ একর জমি প্রদান করেন এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য স্থায়ী ভবন নির্মাণের সব উদ্যোগ গ্রহণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো এই প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিতে কোনো উদ্যোগ নেয় নাই। বরং তারা আমাদের গর্বিত ইতিহাস বিকৃত করেছিল এবং এদেশ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরি। ২০০১ সালের ১৪ জুন জাতীয় আরকাইভস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি।

তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরেও আমরা জাতীয় আরকাইভসের অবকাঠামো ও পরিষেবা উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ২০১৬ সালে আমরা অনেকগুলো নতুন পদ সৃষ্টি করেছি এবং আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করেছি। 

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী দলিল-দস্তাবেজ সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আইন, ২০২১’ জারি করেছি।

তিনি আরো বলেন, সনাতনী, পুরাতন নথিপত্র ডিজিটাইজেশন করার কার্যক্রম চালু করেছি। যার ফলে আমাদের গবেষক, লেখক, সাহিত্যিক, প্রোফেশনাল, শিক্ষার্থী, সংস্কৃতি কর্মী, গণপ্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, নীতি নির্ধারক ও সর্বোপরি সাধারণ জনগণ নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com