বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন , সরকার ২০১৯ সালের মধ্যে শতভাগ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে । পাশাপাশি দেশের সব মানুষের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে । তিনি দেশের আবাসন খাতের উন্নয়নে রাজউক ও রিহ্যাব সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন , আবাসন খাতের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক সেবার গুণগত মান বাড়ানোর বিকল্প নেই।
মন্ত্রী শনিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সেন্টার ফর কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক (সিসিএন ) আয়োজিত জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
সিসিএন এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অর্থ ও পরিকল্পন প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান , সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি মতলব আহমেদ ,জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ এবং রাজউক এর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এমদাদুল ইসলাম । মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনৈতিক বিশ্নেষক সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান ফারুক ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন , দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে আবাসন খাতের ভুমিকা অপরিহার্য । দেশের আবাসন খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে । শিল্প বিকাশ ও কর্মসংস্থানে আবাসন খাতের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন , মালয়েশিয়া ও ভারতসহ বেশ কিছু দেশে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে আবাসন খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ।
ইকুইটি মার্কেট থেকে ভারতে আবাসন খাতের বিনিয়োগকারিরা প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার পূঁজি সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশেও আবাসন খাতের বিকাশে পূঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন ।বাংলাদেশে এ খাতের বিকাশে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা অপরিহার্য । ২০১৩ থেকে ২০১৫সাল পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাতের প্রবৃদ্ধিও তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন , প্রতিনিয়ত নীতিমালা পরিবর্তন না করে দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালা এ খাতের বিকাশে সুফল বয়ে আনবে ।
পাশাপাশি আবাসন খাতে বিনিয়োগকারিদের কারো কারো কারণে গোটা সেক্টরের সুনাম যাতে নষ্ট না হয় সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে মনোযোগি হতে মন্ত্রী পরামর্শ দেন ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস