যে কোনো সময় জনগণের আন্দোলনের ঝড়ে লন্ডভন্ড হবে ‘ডামি’ নির্বাচনী মঞ্চ এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ডামি নির্বাচনী মাঠে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েও এবার আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। কারণ জনগণ ইতোমধ্যে ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে।
নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে গত ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে আছে। দেশের গণতন্ত্র হত্যা ও জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। গুম-খুন চালিয়ে দেশের অসংখ্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীদের হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। ইনশাআল্লাহ আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের জনগণ শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করে ঘরে ফিরবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ-তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি আপনার একটি সঠিক সিদ্ধান্তে দেশ ও জাতি এ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের হাত থেকে মুক্তি পাবে। আমরা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছি। তাই এ ডামি নির্বাচনে আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করুন এবং ৭ জানুয়ারি সারাদিন পরিবারকে সময় দিন।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। যে কোনো সময় পালাতে বাধ্য হবে। আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে এ পাতানো নির্বাচন প্রতিহত করবে। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত। জনগণকে আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির শুরুটা হয়েছিল ব্যাংক লুট, হত্যা, ধর্ষণ ও বাকশাল দিয়ে। এবার আওয়ামী লীগের শেষটা হবে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে মনে রাখতে হবে এ দেশ ওলি-আউলিয়া, মুসলিম উম্মার দেশ। এদেশের মাটিতে আঘাত করলে আকাশ কেঁপে ওঠে। সুতরাং বেশি ক্ষমতা দেখালে পরিণতি ভয়াবহ হবে।
গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, কাজী মো. নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, আব্দুল হাই নোমান, মো. ফরিদ উদ্দিন, নিলি চৌধুরী, গোলাম মুর্তুজা মানিক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মো. লিটন, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, ইসলামী ঐক্য জোটের, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, জনি নন্দী, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ