কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আর্জি জানিয়ে করা রিটের শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। একই সঙ্গে রিটে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আর্জি জানানো হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া এ রিট করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ