বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার গৌরদিয়া বাজারের আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর ও জবর দখল করেছে সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসা স্থানীয় চেয়ারম্যান মলয় বোস হত্যা মামলার যাবতজীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হাতেম মোল্লা গংরা। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দুই পুত্র বাবলু চৌধুরী ও লাবলু চৌধুরীর দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকালে।
সরোজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিসটি নিয়ন্ত্রণ করতেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা চৌধুরীর পুত্র ও তার এপিএস আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু মামা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এপিএস পদ থেকে বাবলু চৌধুরীকে অব্যহতি দেওয়া হয় এবং নতুন এপিএস হিসেবে করেন শফিউদ্দিন। এর সাথে সালথা-নগরকান্দার রাজনীতির হাল ধরার জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্র লাবলু চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ঘটনার কারণে সালথা-নগরকান্দায় আওয়ামীলীগের মধ্যেই দুইটি গ্রুপ বিরাজমান হয়। এরই সূত্র ধরে শনিবারে বাবলু চৌধুরীর লোকজনকে বিতারিত করে আওয়ামীলীগ অফিসটি দখল নেয় লাবলু চৌধুরীর অনুসরি হাতেম মোল্লা গংরা।
আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুরের বিষয়ে এলাকার রণগোপাল (সংসদ উপনেতার সাবেক পিএস), আটঘর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বরুন সরকার ও বাজার ব্যবসায়ী মিঠু দত্ত জানান, শনিবার সকালে হাসেম মোল্লার কিছু লোকজন এসে আওয়ামীলীগ অফিসের তালা ভেঙ্গে কিছু কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে এবং চেয়ারটেবিল অফিস থেকে বের করে দিয়ে ঘরটি জবর দখল করে নেয়। হাসেম মোল্লার ভয়ে ওই সময় গৌরদিয়া বাজারের কেউ কথা বলার সাহস পান নি।
এ বিষয় হাতেম মোল্লার পুত্র মিরাজ হোসেন জানান, এই আওয়ামী লীগ অফিসের ঘরটি আমাদের ক্রয়কৃত। আওয়ামীলীগ অফিস ভাঙ্গা হয় নাই এবং জবরদখলও করা হয় নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভাড়া দেয় না বাবলু গ্রুপের লোকজন। তাই আমরা আমাদের ঘরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আওয়ামীলীগ অফিসই করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এতদিন বাবলু চৌধুরী দ্বারা নির্যাতিত ছিলাম, লাবলু মামার অনুমতি স্বাপেক্ষে আওয়ামীলীগ অফিসটি আমরা দখলে নিয়েছি। এটি আওয়ামী লীগ অফিসই থাকবে। শুধু পরিবর্তন হয়েছে কয়েক ব্যক্তি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস