মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি সরকারের সম্মতি রাব্বী হত্যা মামলায় ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝরেছে ৪২৬ প্রাণ, ৪২ শতাংশই মোটরসাইকেলে দুর্নীতি কিছুটা কমেছে, চাঁদাবাজি তেমন একটা কমেনি হাইকোর্টে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: অ্যাটর্নি জেনারেল নেত্রকোণায় ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ, ৪টি ইউনিয়নে কংসের পানি চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২ বিজ্ঞানী দুর্গাপূজায় স্কুল-কলেজ টানা ১১ দিন ছুটি ৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি শিউলি আজাদ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি চায় এনজিওগুলো: দেবপ্রিয় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আসিফ রহমানের সঙ্গে গোলাম পরওয়ারের সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত ম্যাক্রোঁর অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানে চটেছেন নেতানিয়াহু কোটা উঠিয়ে লটারির মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দের প্রস্তাব গণপূর্ত উপদেষ্টার সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেনকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আমি কোনো দুর্নীতি করিনি : মাদকের ডিজি শুধু মেগা প্রজেক্ট নয়, সবুজায়ন বাড়াতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আওলাদে রাসূলদের ভালোবাসায় পবিত্র রিজিক দান করেন আল্লাহ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস। কেননা তিনি তোমাদের তাঁর নেয়ামতগুলো খাওয়াচ্ছেন। আর আল্লাহর ভালোবাসায় তোমরা আমাকেও ভালোবাস এবং আমার ভালোবাসায় আমার আহলে বায়েতকেও ভালোবাস (তিরমিজি শরিফ)।

সব ধরনের রিজিকের জন্য আল্লাহকে ভালোবাসতে হবে। আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সব ধরনের রিজিকের জন্য রাসূল (সা.)কে ভালোবাসতে হবে। রাসূল (সা.)-এর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সব ধরনের রিজিকের জন্য আওলাদে রাসূলদের ভালোবাসতে হবেই। সব ধরনের রিজিকের জন্য আল্লাহকে ভালোবাসতে হবে, রাসূল (সা.)কে ভালোবাসতে হবে, আওলাদে রাসূলদের ভালোবাসতে হবেই- এর কোনো অন্যথা নেই।

সূরা আলে ইমরানের (৩:৩১) আয়াতে দেখা যাচ্ছে, রাসূল (সা.)-এর অনুসরণ করলে আল্লাহ তাকে ভলোবাসেন। সব ধরনের রিজিকের জন্য আল্লাহকে ভালোবাসতে হবে রাসূলের অনুসারী হয়ে। এ বেলায়েতি জামানায় আওলাদে রাসূলের অনুসারী হলে রাসূল (সা.)-এর অনুসরণ হবে। আর রাসূল (সা.)-এর অনুসরণ করলে আল্লাহর সব ধরনের ভালোবাসা পাওয়া যাবে।

আওলাদে রাসূলের অনুসরণ করলে রাসূল (সা.)-এর অনুসরণ হয়, রাসূল (সা.)-এর অনুসরণ করলে আল্লাহ খুশি হন এবং আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যায়। রাসূল (সা.)-এর অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া উম্মতে মোহাম্মদের মূল লক্ষ্য। ইব্রাহিম (আ.)-এর বংশধর, মোহাম্মদ (সা.)-এর বংশধর- আওলাদে রাসূল সম্পর্কে যাদের কোনো ধারণা নেই তারা মনে করেন, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতই সব।

নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতেই রাসূল (সা.)-এর অনুসরণ হবে আর কিছুই লাগবে না। নবী বংশ আওলাদে রাসূলরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ- কোরআনের এ কথাটি তারা আমলেই আনতে চায় না। আওলাদে রাসূলরা সমগ্র সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ- এ কথাটির অর্থ হচ্ছে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে আওলাদে রাসূলদের মান্য করা। এ হাদিস সঠিকভাবে বুঝতে পারলে ও আলী (রা.)-এর কথা বুঝতে পারলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। হজরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত।

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তভাবে ধারণ (অনুসরণ) করলে আমার পরে কখনও গোমরাহ হবে না। তার একটি অপরটির চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ, আল্লাহর কিতাব যা আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত এবং আমার পরিবার অর্থাৎ আমার আহলে বায়েত। এ দুটি কখনও পৃথক হবে না কাওসার নামক ঝর্ণায় আমার সঙ্গে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব, তোমরা লক্ষ কর, আমার পরে এতদুভয়ের সঙ্গে তোমরা কেমন আচরণ কর। (মুসলিম, তিরমিযি শরিফ)।

তোমরা কোরআনকে যতটুকু মর্যাদা দাও তাদেরও ততটুকু মর্যাদা দিও এবং তৃষ্ণার্ত উট যেভাবে পানির ঝর্ণার দিকে ছুটে যায়, হেদায়েতের তৃষ্ণা মিটানোর জন্য তোমরাও সেভাবে তাদের দিকে যেয়ো। নাহ্জ আল বালাঘা- মাওলা আলীর উপরোক্ত হাদিস থেকে স্পষ্ট, আমাদের আল্লাহর কোরআন ও রাসূল (সা.)-এর আহলাল বায়েত অর্থাৎ আওলাদে রাসূলদের দৃঢ়ভাবে ধারণ বা অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহর কোরআন ও আওলাদে রাসূল এ দুটোর একটিকে বাদ দিয়ে হাউজে কাওসারে রাসূল (সা.)-এর কাছে যাওয়া যাবে না।

ইসলাম ধর্মে গোমরাহির কোনো স্থান নেই। সাহাবি বর্ণিত কোরআনসংশ্লিষ্ট হাদিসকে বাদ দিয়ে আওলাদে রাসূলবিরোধী তাবেয়ি বর্ণিত মিথ্যা হাদিসকে যারা প্রচার করবে তারা অবশ্যই মুনাফেক। রাসূল (সা.) আত্মীয়-অনাত্মীয় সব ধরনের সাহাবিদের কাছে মা ফাতেমা, হজরত আলী, ইমাম হাসান, ইমাম হোসাইনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সদ্ব্যবহার ছাড়া আর কিছুই চাননি। মা ফাতেমা, হজরত আলী, ইমাম হাসান, ইমাম হোসাইনের বংশীয় ধারার আওলাদে রাসূলদের সঙ্গে মহাব্বতের আনুগত্যশীলতাই আল্লাহ ও রাসূলের মূল রিজিক পাওয়ার একমাত্র উপায়। কোরআনের এ আয়াত বুঝে পড়তে হবে।

সূরা শুরা : (২৩) এ সুসংবাদই আল্লাহ মুমিন ও পুণ্যবান বান্দাহদের প্রদান করেন। আপনি বলুন, আত্মীয়তার সদ্ব্যবহার ছাড়া তোমাদের কাছে আমি আর কিছুই চাই না। আর যে কল্যাণ করে আমি তাতে আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকি, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (২৪) তারা কি বলে, সে আল্লাহর ওপর মিথ্যা রচনা করেছে? আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে আপনার মনে মোহর মেরে দিতেন। আর আল্লাহ মিথ্যাকে বিলুপ্ত করেন এবং হক প্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চয়ই তিনি তোমাদের অন্তরে যা আছে তা সবিশেষ অবহিত। (২৫)

আর তিনি নিজ বান্দাহদের তওবা গ্রহণ করেন এবং গুনাহগুলো মিটিয়ে দেন, আর তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত। আয়াত-২৪ : এ আয়াতের আগে আয়াত নাজিল হলে সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনার কোন আত্মীয়ের সঙ্গে আমাদের মহাব্বত রাখার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে? রাসূল (সা.) বললেন, ফাতিমা (রা.), আলী (রা.), হাসান (রা.) এবং হোসাইন (রা.)।

তখন কতিপয় লোকের ধারণা জন্মাল, রাসূল (সা.)-এর এ আদেশ দেয়ার উদ্দেশ্য হল তারা যেন রাসূল (সা.)-এর পর আমাদের ওপর হুকুমত চালায় এবং আমরা তাদের প্রজা হয়ে থাকি। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (খাযিন) শানে নুজুল আয়াত- ২৫:২৪ নং আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর কুধারণাকারীরা লজ্জিত হয়ে পড়ল এবং আবেদন করল, হে আল্লাহর রাসূল। আমরা আমাদের কুধারণা থেকে তওবা করছি। তখন তওবা গ্রহণের সুসংবাদে আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।

যারা আওলাদে রাসূলের প্রতি আনুগত্যশীল তাদের প্রতি আল্লাহ ক্ষমাশীল অর্থাৎ তারা সব ধরনের রিজিক পাবে। বেহেশতিদের জন্য সব ধরনের উত্তম নিয়ামতপূর্ণ রিজিকের সমাহার রয়েছে। বেহেশতি মহিলাদের সর্দার মা ফাতেমাসহ আওলাদে রাসূলদের প্রতি আনুগত্যশীল মহিলারা বেহেশতি নিয়ামতপ্রাপ্ত হবে মা ফাতেমার নেতৃত্বে।

বেহেশতি নিয়ামতপ্রাপ্ত যুবকদের সর্দার হচ্ছেন ইমাম হাসান-ইমাম হোসাইন। ইমাম হাসান-ইমাম হোসাইনসহ আওলাদে রাসূলদের প্রতি আনুগত্যশীলরাই বেহেশতে নিয়ামতপ্রাপ্ত হবে। যার বণ্টন ব্যবস্থা ইমাম হাসান-ইমাম হোসাইনের ওপর থাকবে। আওলাদে রাসূলদের এ শ্রেষ্ঠত্ব কোনো মানুষ-জিন-ফেরেশতা প্রদত্ত নয় স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত।

আওলাদে রাসূলদের কল্যাণ সাধন করা সমগ্র উম্মতের জন্য রাখা হয়েছে। যারা আল্লাহর পথ ধরে আওলাদে রাসূলের কল্যাণে ব্যয় করবে তার কল্যাণ বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেবেন আল্লাহ। আল্লাহর এ প্রতিদান ইহকাল-পরকালে স্পষ্টভাবে পাওয়া যাবে।

লেখক : প্রাবন্ধিক, টোপেরবাড়ী দরবার শরিফ

বাংলা৭১নিউজ/এইচএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com