গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, ছাত্রলীগ যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে পরিপত্র জারি করলে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রশ্নবিদ্ধ, তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, নয়তো ঝুঁকি থেকেই যাবে। প্রশাসনে সংস্কারের আগে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাই।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেকে বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ ছিলো, তাই দ্রুত গুছিয়ে নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য রূপরেখা দিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। ’
এদিন ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ছাত্র-জনতায় গণহত্যার দায়ে বিচারের দাবি উঠে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এ আলোচনা সভায়। একইসঙ্গে এতদিন গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করারও দাবি ওঠে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও ফজলুর রহমান প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ