সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি সরকারের সম্মতি রাব্বী হত্যা মামলায় ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝরেছে ৪২৬ প্রাণ, ৪২ শতাংশই মোটরসাইকেলে দুর্নীতি কিছুটা কমেছে, চাঁদাবাজি তেমন একটা কমেনি হাইকোর্টে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: অ্যাটর্নি জেনারেল নেত্রকোণায় ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ, ৪টি ইউনিয়নে কংসের পানি চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২ বিজ্ঞানী দুর্গাপূজায় স্কুল-কলেজ টানা ১১ দিন ছুটি ৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি শিউলি আজাদ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি চায় এনজিওগুলো: দেবপ্রিয় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আসিফ রহমানের সঙ্গে গোলাম পরওয়ারের সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত ম্যাক্রোঁর অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানে চটেছেন নেতানিয়াহু কোটা উঠিয়ে লটারির মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দের প্রস্তাব গণপূর্ত উপদেষ্টার সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেনকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আমি কোনো দুর্নীতি করিনি : মাদকের ডিজি শুধু মেগা প্রজেক্ট নয়, সবুজায়ন বাড়াতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আইনজীবী ফ্রন্ট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ২০২২ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভোটের দিন সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন, যেটি ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট বারে পুলিশি প্রহরার প্রথম ঘটনা। ভোটের দিন সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিছিল-স্লোগানের মধ্যে উত্তেজনা, মারামারি ছাড়াও ভোট গ্রহণের দিন বিকেলে পাল্টাপাল্টি হামলা।

এরপর একতরফা ভোটে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্রার্থীরা সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১৪টি পদের সবকটি পদে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। ভোটের পর থেকেই শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি ও জামায়াতপন্থিসহ অন্য আইনজীবীর সমন্বয়ে গঠিত হয় নতুন আইনজীবী সংগঠন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)। যদিও এর পরপরই সংবাদ সম্মেলন করে সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষ থেকে সেই সংগঠনকে প্রত্যাখ্যান করা হয়।

মোর্চা গঠনের বিষয়ে সংগঠনের অগ্রভাগে থাকা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী  বলেন, আমরা শুধু সুপ্রিম কোর্টভিত্তিক মোর্চা বা ঐক্য করিনি। সারাদেশে আমরা এটা করবো এবং আইনজীবীদের সংঘবদ্ধ করে এই যে আজ একটি দুষ্টচক্র সবকিছু (আইন অঙ্গনের সভ্যতা, সংস্কৃতি) চুরমার করে দিচ্ছে সেটাকে আমরা অবশ্যই রুখবো এবং আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ মোর্চার মধ্য দিয়ে যাতে ভবিষ্যতে (ফারদার) কিছু না করতে পারে আমরা সব সময় সজাগ এবং সোচ্চার থাকবো।

গণফোরামের সাবেক এ নেতা আরও বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা করে বহু বছর আমাদের ভুগতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বারে যেগুলো হচ্ছে আমাদের এই জের টানতে হবে আরও ৫০ বছর। আইনজীবীদের একজনের প্রতি অন্যজনের শ্রদ্ধা বলতে কিছু নেই। ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে সেটাই তো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বহু মতের ও পথের আইনজীবী এখানে আছেন, তারাই রাজনৈতিক ভূমিকা রাখেন- এটাই স্বাভাবিক। সেই জায়গায় আমরা সুপ্রিম কোর্ট বা বিচারঙ্গনকে এভাবে কলুষিত করি এটার জন্য সবাইকে আগামী দিনে ভুগতে হবে। সবাই আমরা বঞ্চিত হবো। জনগণও বঞ্চিত হবে।

‘ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট’ থেকে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম চিঠি দিয়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম যে কথাটি বলেছেন, সেটি হলো উনি তো ‘ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট’র সাথে ছিলেন না। তার চলে যাওয়া আর থাকার মধ্যে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

বর্তমান সরকার দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। মানবাধিকার নেই, আইনের শাসন নেই, সে কারণেই হয়তো অনেকে ধারণা করছিলেন বর্তমান সরকারের এসব বিষয়ে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ভোকাল, উনি নিরপেক্ষ আইনজীবীদের পক্ষে কাজ করবেন। তবে, হয়তোবা ওনার বয়স, স্বাস্থ্যগত দিক ও কোর্টে আসাসহ সব কিছু বিবেচনায় উনি আমাদের সঙ্গে নেই। তার মানে এটা নয় যে উনি ছিলেন, চলে গেছেন।

এখানে শুধু বিএনপি ও জামায়াতের আইনজীবীরা রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কায়সার কামাল বলেন, এখানে যারা আছেন প্রত্যেকে অবশ্যই কোনো না কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস করেন এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবো। আইনের শাসন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকারের জন্য কাজ করবো।

আমাদের সরকারের মদতপুষ্ট আইনজীবী লার্নেড ফ্রেন্ডরা যারা আছেন তারা মনে করছেন এটা সরকারবিরোধী। আসলে তারা জানেন দেশে গণতন্ত্র নেই। তারা জানেন দেশে ভোটাধিকার ও মানবাধিকার নেই। তারা জানেন বার স্বাধীন নয়। তারা জানেন সুপ্রিম কোর্টের ভোটকে তারা ডাকাতি করেছে। যে কারণেই আমার লার্নেড ফ্রেন্ডরা মনে করেন এটা সরকারবিরোধী।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, অনেক ভাষাগত বিষয় তো থাকে। বলতে পারতেন যে বিপৎগামী আইনজীবী বা অন্য মতাদর্শের আইনজীবী। কিন্তু একজন আইনজীবী হয়ে অন্য আইনজীবীকে সন্ত্রাসী বলাটা কতটুকু যৌক্তিক এটা সময়ই বলে দেবে।

ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট গঠনের বিষয়ে সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট নিয়ে প্রথমে আমি একটু পরিষ্কার করতে চাই, এখানে অনেক দলই আছে শুধু বিএনপি বা জামায়াত নয়, আমরা (সিবিএ) সংবিধান সংরক্ষণ কমিটি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম জাবিরের নেতৃত্বে জাসদের একটি অংশ, জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহর নেতৃত্বাধীন একটা অংশ, আইনজীবী অধিকার পরিষদের একটি অংশ (রেজা কিবরিয়ার একটি অংশ), জিসান মহসিন। এছাড়া অন্য ব্যক্তি ও দলের আইনজীবীরা আছেন।

তিনি বলেন, ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট কোনো সংগঠনের ঐক্য নয়। এখানে বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা থাকতে পারেন অনেক লিবারেল আওয়ামী লীগের আইনজীবীও রয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও যুক্ত হবেন। সুতরাং এটি স্পেসিফিক বিএনপি-জামায়াতের জোট নয়। এটি আইনজীবীদের জোট। এখানে আওয়ামী লীগ বাদে আপাতত সব দলেরই আইনজীবী রয়েছেন। অনেক সাবেক প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিও রয়েছেন।

এটি বিএনপি-জামায়াতের একটি সন্ত্রাসী অপভ্রংশ এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার মন্তব্য কী এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ভূতের মুখে রাম নাম। এই যে দুলাল তারা তো অবৈধভাবে সুপ্রিম কোর্ট দখল করে আছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে গত ৩০ মার্চ গঠন করা হয় একটা এডহক কমিটি।

যেটা বারের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি। সেই কমিটিও কাজ করছে। দুলাল সাহেব যেটা করছেন, সেটা তিনি তার পলিটিক্যাল কাজ করছেন, ইদানীং দেখছি তিনি নিজের এলাকায়ও দৌড়াদৌড়ি করছেন, বিনাভোটে এমপি হওয়ার শখ কে হাতছাড়া করে বলেন। ‘গুড লাক টু হিম’!

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি আমার নীতি থেকে একটুও সরিনি। আমি ২০০১ থেকে ছয়েও (২০০৬ সালে) একই কথা বলেছি স্বাধীন বিচারবিভাগ। বিচারক নিয়োগের আইন করতে হবে সংবিধানের নির্দেশ। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়েও সাংবিধানিকভাবে নিয়োগ দিতে হবে। খালেদা জিয়ার সরকারও আমার বিরুদ্ধে চারটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছিল। কাজেই সরকারের দ্বারা মামলা আমার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম নয়।

তিনি আরও বলেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের চিঠির বিষয়ে যারা অহেতুক বিতর্ক করছেন তারা আমাদেরই কিছু আইনজীবী বন্ধু। তারা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে অপমান করছেন। আমীর-উল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে চারজনকে জানিয়েছেন; সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফিক, শাহ আহমেদ বাদল ও আমি সৈয়দ মামুন মাহবুবকে। সেই চিঠিতে ছিল আমি তোমাদের সাকসেস চাই। নানা কারণে একটু থাকতে পারছি না।

উনি বর্তমানে চেন্নাইয়ে ট্রিটমেন্ট নিচ্ছেন। তার বয়স ৯০ এর কাছাকাছি। এত কিছুর মধ্যেও উনি আমাদের জামিনের জন্য গেছেন, তাপস সাহেবের বিষয়টি প্রথম চিফের দৃষ্টিতে এনেছিলেন। উনি চেন্নাই থেকে ফিরে আসার পর ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট আইনজীবী মহাসমাবেশ করবো ইনশাআল্লাহ। উনি আমাদের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আমি বলে নয়, ইউএলএফ বলে না, তিনি আসলে গণতন্ত্র, মুক্তচিন্তার যে আন্দোলনই হোক যাবেন। কারণ তিনি এগুলোর ব্যাপারে আপসহীন।

এ বিষয়ে জামায়াত নেতা ও বারের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান  বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট গঠনের বিষয়ে এখানে শুধু বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা আছেন বিষয়টি তা নয়। এখানে সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীসহ সর্বদলীয় আইনজীবীরা রয়েছেন। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে আইনজীবীদের নিয়ে ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট করা হয়েছে এমন বক্তব্য রাজনৈতিক। এটা ঠিক নয়।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও অন্য আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত ফ্রন্ট গঠনে রেজা কিবরিয়া ও ভিপি নুরের অর্থ রয়েছে। ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা নয়, তাদের ফ্রন্ট গঠন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, মানবাধিকার যখন হরণ হয় তখন বলতে হবে কোন জায়গায় কোন পয়েন্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে সেটা বলতে হবে। আমরা বলতে পারি যে সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা যে মানবাধিকারের কথা বলেন, মানবাধিকার কনসেপ্ট নিয়ে তাদের আত্মজিজ্ঞাসা করা উচিত তারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে না, আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না।

আইনজীবী ফ্রন্ট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা বলেন, ভোটাধিকার নেই! জিয়াউর রহমানের আমলে কী কোনো ভোটাধিকার ছিল। ভোটাধিকার নেই কীভাবে, তা হলে কী ভাড়া করে আনতে হবে ভোট দেওয়ার জন্যে। এখানে আমি হারলে পরে ভোটাধিকার নেই!

এ সময় দেশের চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ তো হেরেই গেলো।

ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট গঠন

সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে কনভেনর এবং অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে কো-কনভেনর করে ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা।

গত ১২ জুন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফোরামের কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এসময় অন্য আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।

বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনায় ছিল বিএনপি ও সমমনা সব রাজনৈতিক দল এবং বিরোধীদলীয় আইনজীবীদের নিয়ে ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন করার। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের হলরুমে এ ফ্রন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মৌলিক মানবাধিকার ও সুপ্রিম কোর্ট বারসহ দেশের সব আইনজীবী সমিতিকে স্বাধীন রাখা এবং সর্বোপরি আইনজীবীদের অধিকার-মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা, সুপ্রিম কোর্ট বারসহ সারাদেশের বারসমূহের সভাপতি-সম্পাদক এবং অন্য পদে নির্বাচিত নেতা ও বারসমূহে আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আইনজীবী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৃহৎ পরিসরে আন্দেলনের প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে, যার নাম ‘ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট’।

সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রতিক্রিয়া

বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলের আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্টকে প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার অ্যাসোসিয়েশন)। এই আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ সবাই আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্টকে বিএনপি এবং জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের একটি অপভ্রংশ বলে আখ্যা দেন।

গত ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুন নূর দুলাল বলেন, বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা নতুন কৌশল অবলম্বন করে গত ১২ জুন সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে তারা ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট নামে একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিতে যারা আছেন তাদের সবার অতীত আপনাদের জানা।

তাদের প্রায় সবাই বিএনপিদলীয় আইনজীবী। বাকি কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ অবস্থায় আইন অঙ্গনে ও সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তাদের লিখিত বক্তব্য সত্যের অপলাপ। ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের জোটের আইনজীবীদের একটি অপভ্রংশ মাত্র।

তিনি বলেন, এটি নতুন করে সন্ত্রাস সৃষ্টির একটি অপপ্রয়াস। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাস করে না, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যাদের জন্ম বন্দুকের নলের ভেতর থেকে, যারা ভোট বর্জনের নামে দীর্ঘদিন বর্জনের খেলায় মত্ত, যারা বাংলাদেশে আইনের শাসনবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যারা বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে চলছেন, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত- এ জোট তাদেরই একটি অপভ্রংশ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com