রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইসলামী ব্যাংক ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য রাষ্ট্রকে অনন্য উচ্চতা দিয়েছে: আ স ম রব স্বৈরাচারের সহযোগী দলগুলোকে ১০ বছর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিৎ জনগণের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছি: ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেনে মেডিকেল সেন্টারে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৬ পাবনায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন দ্বিতীয় দিন একটি বলও মাঠে গড়ালো না প্রশাসনে আ. লীগের দোসরদের রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয় : রিজভী ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৬৩৩ মামলা, জরিমানা ২৩ লাখ বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দুই ভারতীয় আটক পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন শুরু ১ অক্টোবর বিদেশি বিনিয়োগ টানতে উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির পরামর্শ আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান, যেতে হতে পারে কারাগারে ‘অজনা কারণে’ পেশাগত সনদ পাননি ৩ হাজারেরও বেশি নার্স চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আজও আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন

অর্ধশতাব্দীতে প্রথমবার চট্টগ্রামে রুশ নৌবহর

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

হঠাৎ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে রাশিয়ার নৌবাহিনীর বহর। এর ফলে অর্ধশতাব্দীর মধ্যে প্রথমবার রাশিয়ার কোনো নৌবহর বন্দরে ভিড়ল।

রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকার রুশ দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে ছবি পোস্ট করে লিখেছে, রাশিয়ান প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন চট্টগ্রাম বন্দর ভ্রমণ করছে, যা রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি মাইলফলক। ৫০ বছর আগে শেষবার রাশিয়ান/সোভিয়েত নৌবাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশি বন্দর ভ্রমণ করেছিল।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানায়, প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন নামে ওই নৌবহরে অ্যাডমিরাল ট্রাইবাটস ও অ্যাডমিরাল প্যান্টেলেভ নামে দুটি সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। আরও রয়েছে পেচেঙ্গা নামে একটি ট্যাঙ্কার।

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটস্কি তাসকে বলেন, ৫০ আগে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নৌবন্দর থেকে মাইন অপসারণে অভিযান পরিচালনার জন্য একটি রুশ নৌবহর মোতায়েন করা হয়েছিল।

‘সেই সময় রুশ নৌবহর এসেছিল মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বন্দরে অনেক মাইন বসানো হয়েছিল। এ কারণে অনেক জাহাজ ডুবে গিয়েছিল।’

রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, সেই সময় এই মাইন সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক দেশের কাছেই আবেদন জানিয়েছিল। কিছু দেশ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু বিনিময়ে অনেক অর্থ দাবি করেছিল তারা, যা বাংলাদেশের ছিল না।

তিনি বলেন, তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) একমাত্র দেশ হিসেবে মানবিক কারণে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছিল। এরপর সমস্যা সমাধানে মাইন ক্লিয়ারিং অপারেশন নামে একটি অভিযান চালানো হয়, যা ১৯৭২ সালের এপ্রিলে শুরু হয়ে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত চলে।

রাষ্ট্রদূত জানান, সোভিয়েত নৌবাহিনীর আট শতাধিক নাবিক ২৬ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণ করে। সেই অভিযানে এক রুশ নৌ ডুবুরি মারা যান। তবে শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত নৌসেনারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করে এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সারা বিশ্ব থেকে জাহাজ আসা-যাওয়ার পথ সুগম হয়।

তবে এবার রুশ নৌবহরের আগমনের লক্ষ্য একেবারেই আলাদা। চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান বলেন, রুশ নাবিকরা আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছেন। তবে এবার শুধু প্রীতি সফরে।

তিনি বলেন, এটি প্রমাণ করে যে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে খুব উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com