পরিবেশ আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাহাড়ি উঁচু টিলাভূমি ধ্বংস করে আখাউড়া-আগরতলা নির্মাণাধীন ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের মাটির যোগান দিচ্ছেন স্থানীয় অসাধু ঠিকাদাররা। দিন দুপুরে এসব পাহাড়ি মাটি কেটে নিলেও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে অনেকটাই নীরব। তবে খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
দিনে দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের জন্য উপজেলার দক্ষিণ মিনারকুট গ্রামের উঁচু পাহাড়ি ভূমিগুলো পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। এসবের পেছনে কাজ করছে এক শ্রেণির ভূমি খেকো ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবান্ধব পাহাড়ের এমন ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলেও রহস্যজনক কারণে অনেকটাই নীরব পরিবেশ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসন।
তবে পাহাড় কাটা খারাপ উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১ নম্বর মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল ভুঁইয়া বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, এভাবে পাহাড় কাটলে বাংলাদেশের এবং পরিবেশের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। আমি এই বিষয়টা জানি না। আমাকে জানানোও হয়নি।
তবে মাটি কাটার কথা স্বীকার করে স্থানীয় ঠিকাদার মো. রাজিব ভুঁইয়া বলেন, পাহাড় নয় নিজের কেনা ভিটা জমি কেটে পুকুর বানাচ্ছেন।
মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জমি এটা আমার। আর এখানে কোন পাহাড়ি জমি কাটা হচ্ছে না। এখানে ইন্ডিয়া রেলের সরকারি কাজ। এগুলোতে কোন ফসল হয় না এজন্য এগুলো জলাশয় করা হচ্ছে।
পাহাড় কাটা সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা জানান, দ্রুত পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুল আমীন বলেন, এই বিষয়ে আমরা কিছু শুনিনি। এখন আপনাদের মাধ্যমে জানলাম, অতি শীঘ্রই আমরা ওই জায়গাটা ভিজিট করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে আলম বলেন, আইনে নিষিদ্ধ আছে পাহাড়ি ভূমি কাটার বিষয়ে। এই বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আখাউড়া সীমান্ত অঞ্চলে অন্তত অর্ধশতাধিক পাহাড় এবং ফসলি সমতল ভূমি উজাড় করে গভীর খাদে পরিণত করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএন