শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বৈরাচাররা দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে: তারেক রহমান টস হেরে ব্যাটিংয়ে চিটাগং পবিত্র শবেবরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানে বিশ্ব ইজতেমা শুরু, মুসল্লিদের ঢল এস আলম পরিবারের ৩৬৮ কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ ‘বুড়ির নাতি’ সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা গুম কমিশনের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ ভুয়া জামিননামায় কারাগার থেকে ছাড়া পান ৪ আসামি মেডিকেলে ভর্তি-সরকারি চাকরিতে কোটা : মতামত চাইলো উপদেষ্টা পরিষদ আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির সুইডেনে কুরআন অবমাননাকারী সেই যুবক গুলিতে নিহত সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছর কারাদণ্ড নারীদের বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সরকারের উদ্বেগ শেরপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ টন নকল সার জব্দ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় গাজীপুরে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আলোচিত ‘ক্যাসিনো ব্রাদার্স’ এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড ধর্ষণ মামলায় কংগ্রেসের এমপি গ্রেফতার ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক ৮ ফেব্রুয়ারি শক্তি প্রদর্শন করবে ইমরান খানের দল জায়গা থাকলে ১০০ তলা ভবনও করতে দেওয়া হবে

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না: হাইকোর্টের রায়

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না। গাছ কাটার আগে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে সাত দিনের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়ার জন্য পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসরদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ কর্মকর্তা, সরকারি কলেজের অধ্যাপক, সমাজকর্মী, পরিবেশবিদ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সিভিল সার্জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। যারা জেলা পর্যায়ের গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবেন।

আদালত রায়ে বলেন, দেশে দিন দিন তাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক-সংখ্যক গাছ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ব্যাপকভাবে গাছ কর্তন করা হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে, যা আমাদের বেঁচে থাকার অধিকারকে খর্ব করবে। পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য যে পরিমাণ গাছ বাংলাদেশে থাকা দরকার, সে পরিমাণ নেই। এই গাছগুলোকে রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

আদালত আরো একটি আদেশে জনপ্রশাসন সচিবকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকদের প্রতি একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়, যারা উপজেলা পর্যায়ের গাছ কাটা সম্পর্কে অনুমতি প্রদান করবে।

এ ছাড়াও রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর অধীনে রোপণকৃত গাছসমূহ কাটা যাবে না, বরং গাছের সমমূল্যে টাকা রোপণকারীকে প্রদান করতে হবে। এই মর্মে সামাজিক বনায়ন বিধিমালায় পরিবর্তন আনায়নেরও নির্দেশনা প্রদান করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. শফিকুর রহমান, মাহফুজ বিন ইউসুফ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবীর রোমেল।

সারা দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও পরিবেশদূষণ বন্ধ করে মানুষের জীবন ও সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০২৪ সালের ৫ মে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন।

ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বছরের ৭ মে, ঢাকার দুই সিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটা কেন মানবাধিকারের পরিপন্থি হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ অনুযায়ী বপনকৃত গাছ না কেটে, বরং উক্ত গাছের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা কেন বপনকৃত ব্যক্তিদের প্রদান করা হবে না এবং গাছ কাটতে হলে সকল পর্যায়ে কেন ৭ সদস্যর কমিটির হতে অনুমোদন নিতে হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর আজ চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হলো।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com