আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীকে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এমতাবস্থায় অনুমতি ছাড়াই দলটি রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
পূর্বঘোষিত সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে মিরপুর-১ গোলচত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত। এটি টেকনিক্যাল মোড়ে গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতারা।
বৃষ্টিতে ভিজেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। তারা সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানান।
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিলে দলটির মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দীন প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী রোববার সারা দেশের বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জামায়াত আইনের দৃষ্টিতে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ পাবে, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু জামায়াতকে সে সুযোগ না দিয়ে সারা দেশে জামায়াত নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীসহ সারা দেশে জামায়াতের আট শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীদের নাজেহাল করছে। কোনো কোনো এলাকায় পুরুষ নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি ও মানবাধিকার পরিপন্থী।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ